(একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ)
১) ভূমিকা
২) ফিতরা কাকে বলে?
৩) ফিতরার হুকুম (বিধান)।
৪) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে কি দ্বারা এবং কি পরিমাণ ফিতরা দেওয়া হত?
৫) ধানের না চালের ফিতরা?
৬) ধান দ্বারা ফিতরা আদায় না হওয়ার ব্যাপারে উপমহাদেশের কয়েকজন বরেণ্য উলামায়ে কেরামের ফতোয়া।
৭) যারা ধান দ্বারা ফিতরা দেয়া জায়েয মনে করেন।
৮) খাদ্য দ্রব্য দ্বারা ফিতরা না দিয়ে টাকা-পয়সা দ্বারা ফিতরা দেওয়া
৯) অর্ধ সা’ র ফিতরা
১০) সা সম্পর্কে দুটি কথা
———————————————————————————
১) ভূমিকা: আল্ হামদু লিল্লাহ ওয়াস্ সালাতু ওয়াস্ সালামু আলা রাসূলিল্লাহ, আম্মা বাদ:
আমরা উভয় বাংলার কিছু স্থানে অনেক ভাইকে দেখি তারা তাদের সাদাকাতুল্ ফিতরা ধান দ্বারা প্রদান করে থাকেন। আর অনেকে মূল্য দ্বারা দিয়ে থাকেন। কিন্তু এ বিষয়ে ইসলামী শরীয়া কি বলে বা কি দ্বারা ফিতরা দেওয়া সঠিক? আমরা এই স্থানে তারই একটু খুঁটিনাটি বর্ণনা করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
পাঠক মহোদয়! ‘ইসলাম’’ অর্থ আত্মসমর্পণ করা। [বিশ্বকোষ নাযরাতুন্ নয়ীম, শব্দ আল ইসলাম] আত্মসমর্পণ করা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল প্রদত্ত বিধি-বিধানের সামনে। তাই ইসলামের যে বিষয়ের সমাধান কুরআন বা সুন্নতে বর্তমান সে বিধানের সামনে আত্মসমর্পণ করা এবং তা মেনে নেয়াই হচ্ছে একজন প্রকৃত মুসলিমের বৈশিষ্ট্য ও কর্তব্য। কোন বিষয়ে সহীহ প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তা না মানা কিংবা তার অপ ব্যাখ্যা দেওয়া কিংবা তার বদলে অন্য বিধান রচনা করা নিঃসন্দেহে শরীয়তে হস্তক্ষেপ করার সমান এবং গর্হিত দুঃসাহস মাত্র। মানুষকে এরকম করা থেকে দূরে থাকা দরকার। আল্লাহ বলেন: (আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন বিষয়ে নির্দেশ দিলে কোন মুমিন পুরুষ কিংবা মুমিন নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন কোন সিদ্ধান্তের অধিকার থাকবে না। কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে অমান্য করলে সে তো স্পষ্টই পথভ্রষ্ট হবে।) [ সূরা আহযাব/৩৬] এই দুটি কথার পর আমি আপনাদের সম্মুখে ‘যাকাতুল ফিতর’ বা প্রচলিত ভাষায় ফিতরা সম্পর্কে ইসলামের কিছু নির্ভেজাল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করবো ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ যেন সঠিক বলার, লেখার এবং মানার তাওফীক দেন, আমীন !
২) ফিতরা কাকে বলে?
ফিতরাকে শরীয়তে ‘যাকাতুল ফিতর এবং সাদাকাতুল ফিতর’ বলা হয়েছে। অর্থাৎ ফিতরের যাকাত বা ফিতরের সদকা। ফিতর বা ফাতূর বলা হয় সেই আহারকে যা দ্বারা রোযাদার রোযা ভঙ্গ করে। [আল মুজাম আল ওয়াসীত/৬৯৪]
আর যাকাতুল ফিতর বলা হয় ঐ জরুরী দানকে যা, রোযাদারেরা ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অভাবীদের দিয়ে থাকে। [প্রাগুক্ত]
যেহেতু দীর্ঘ দিন রোযা অর্থাৎ পানাহার থেকে বিরত থাকার পর ইফতার বা আহার শুরু করা হয় সে কারণে এটাকে ফিতরের তথা আাহারের যাকাত বলা হয়। [ ফাতহুল বারী ৩/৪৬৩] Read the rest of this entry